লিভার পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে

লিভারকে শরীরের দ্বাররক্ষী বলা হয়। মানব দেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গও লিভার। এটি শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে আমাদের সুস্থ রাখে। তবে আমাদের জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবে শরীরের অন্যতম এই অঙ্গের সমস্যা দেখা দেয়। লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি সমস্যাগুলো একসময় খুব মারাত্মক হয়ে পরে জীবনের জন্য। তবে বেশ কিছু ফল-মূল আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখলে লিভারজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব…

রসুন: রসুনে সেলেনিয়াম ও এলিসিন নামক উপাদান থাকে এবং এরাও লিভার থেকে টক্সিন বাহির হতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এছাড়া রসুনে লিভার পরিষ্কারক প্রচুর এনজাইম থাকে এবং এই এনজাইম লিভার থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে।

বিট ও গাজর: গাজর গ্লুটাথায়ন নামক প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা লিভারকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে। গাজর ও বিট উভয়ের মধ্যেই উচ্চমাত্রার উদ্ভিজ ফ্লেভনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন থাকে।

সবুজ শাক-সবজি: সবুজ শাক-সবজি শক্তিশালী লিভার পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে থাকে । সবুজ শাক-সবজি কাঁচা, রান্না করে বা জুস হিসেবে খাওয়া যায়। সবুজ শাক-সবজিতে উচ্চ মাত্রার ক্লোরোফিল থাকে এবং এরা রক্ত প্রবাহ থেকে পরিবেশগত বিষ শোষণ করে নেয়।

জাম্বুরা: জাম্বুরাতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা লিভারের ন্যাচারাল ক্লিঞ্জিং প্রসেসকে বৃদ্ধি করে। ছোট সাইজের এক গ্লাস জাম্বুরার জুস লিভারের ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা কার্সিনোজেন এবং অন্যান্য টক্সিনকে পরিপূর্ণভাবে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।

গ্রিনটি: বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় গ্রিনটি। এটি যেমন স্বাস্থের পক্ষে উপকারী তেমনি লিভার লাভিং বেভারেজ বা যকৃৎপ্রেমী পানীয় হিসেবে দারুণ কাজ করে। গ্রিনটি উদ্ভিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, যা লিভারের কাজে সহযোগিতা করে।